www.banglapatrika.org বাংলা গল্প, কবিতা, ছড়া, গদ্য, প্রবন্ধ Bangla kabita,Bangla Kobita, Bangla galpo, Bangla Golpo, Bangla Chara,Bangla Gadya, Bangla lekha, Bengali Poem, Bengali Story, Bengali Rhymes,Bengali Novel, Bengali Writings, Bengali Magazine.
Wednesday, October 31, 2012
Friday, October 19, 2012
No Vacancy by Hasanuj Jaman
No Vacancy
Hasanuj Jaman
Hasanuj Jaman
নো ভ্যাকানসি
হসানুজ জামান
হামাগুড়ি দেওয়া শিশুটি
দুধ খেতে খেতে বড় হল একটু
সোহাগে আদরে তার সুন্দর শৈশবকাল
পাতা ওল্টাতেই কৈশোর, তারপর
যৌবনের রুক্ষতেজ
সব এলোমেলো, এলোমেলো সব
জীবনের খাজকাটা দোরে
ধাক্কা দিতে দিতে কড়া
পড়ে গেল,
পায়ের চটি ছিঁড়ে গেল
পিচঢালা রাস্তায় হাঁটতে হাটতে,
চোখের দৃষ্টি সৃষ্টিকে আস্বীকার
করতে লাগল
জতদূরেই চাই নাই শুধু নাই
কৈশোরে শুরু হওয়া প্রেমের
ভুরভুরে গন্ধ টাটকা যৌবনে
হারিয়ে গেল কোথায়!
দৃষ্টি কেবল পিচ ঢালা রাস্তায়
আবশেষে পথ হেঁট ঝোলান
বোর্ডে, চোখের সামনে পুরানো
সেই রোমান্টিক ছবি আর
নেই , ভেসে ওঠে রুদ্র করাল
রঙিনতাকে ছাপিয়ে যাওয়া রঙিনতর ছবি -
নো - ভ্যাকানসি।
Monday, October 15, 2012
Punya Hao Kabita by Soumyadeep Mandal
Punya Hao Kabita
Soumyadeep Mandal
পুণ্য হও কবিতা
সৌম্যদীপ মণ্ডল (ভগবানপুর, পূর্ব মেদিনীপুর)
তোমার পুরোনো গন্ধে লেগে থাকা
একমুঠো দীর্ঘশ্বাস;
হাতছানি দিয়ে ডাকে কাছে -
নিশিথের ঝরা ফুল।
সময়ের ক্লান্ত আলিগলি বেয়ে ঝরাফুল ফুটেছিল
কোন এক বসন্ত দিনে - সোনা সূর্য গায়ে মেখে।
আনমোনা, শিহরণের আতৃপ্ত পরম,
আহুত করেছিল তোমার বিজয়বার্তা,
কিন্তু -
শেষ চিঠিটা তমায় দিতে পারিনি,
শেষ কবিতা তোমায় নিয়ে লিখিনি,
ভোরের কু-আশার আন্ধগলিতে হারিয়ে গেলাম আমি।
তোমার ক্তহাভাবলেই নিঃশ্বাস ভারী হয়ে অথে;
খাওয়ার সময় যদি দাঁতে চেপে ধরি ঠোঁটটা -
ভাবি হয়তো তুমি নাম ধরো বা আমায় মনে করো।
আনমোনা মেঘগুলো আবার জমাট বাঁধে,
চোখ বন্ধ কর -
এই নাও আকাশ ছেঁচে বৃষ্টি তোমায় দিলেম -
উপহার।
বর্ষার শেষে মেঘটা ক্ষণিকের জন্যে
এক বালতি মুষলধারে বৃষ্টি দিয়ে গেলো।
ভেজো কবিতা তুমি শ্রাবণ-ধারায় ভিজে পুণ্য হও,
তাই কবিতা তোমায় দিলেম ছুটি।
Soumyadeep Mandal
পুণ্য হও কবিতা
সৌম্যদীপ মণ্ডল (ভগবানপুর, পূর্ব মেদিনীপুর)
তোমার পুরোনো গন্ধে লেগে থাকা
একমুঠো দীর্ঘশ্বাস;
হাতছানি দিয়ে ডাকে কাছে -
নিশিথের ঝরা ফুল।
সময়ের ক্লান্ত আলিগলি বেয়ে ঝরাফুল ফুটেছিল
কোন এক বসন্ত দিনে - সোনা সূর্য গায়ে মেখে।
আনমোনা, শিহরণের আতৃপ্ত পরম,
আহুত করেছিল তোমার বিজয়বার্তা,
কিন্তু -
শেষ চিঠিটা তমায় দিতে পারিনি,
শেষ কবিতা তোমায় নিয়ে লিখিনি,
ভোরের কু-আশার আন্ধগলিতে হারিয়ে গেলাম আমি।
তোমার ক্তহাভাবলেই নিঃশ্বাস ভারী হয়ে অথে;
খাওয়ার সময় যদি দাঁতে চেপে ধরি ঠোঁটটা -
ভাবি হয়তো তুমি নাম ধরো বা আমায় মনে করো।
আনমোনা মেঘগুলো আবার জমাট বাঁধে,
চোখ বন্ধ কর -
এই নাও আকাশ ছেঁচে বৃষ্টি তোমায় দিলেম -
উপহার।
বর্ষার শেষে মেঘটা ক্ষণিকের জন্যে
এক বালতি মুষলধারে বৃষ্টি দিয়ে গেলো।
ভেজো কবিতা তুমি শ্রাবণ-ধারায় ভিজে পুণ্য হও,
তাই কবিতা তোমায় দিলেম ছুটি।
Sunday, October 14, 2012
Ajatha Ashrupat by Rahul Bhattacharya
Ajatha Ashrupat
অযথা আশ্রুপাত
রাহুল ভট্টাচার্য
বাইরে বৃষ্টি পড়ছে ,
খানা খন্দ, মা্ঠ, ঘাট, জলে টই টুম্বুর
নর্দমার জল উপচে পড়ছে রাস্তায়,
জল ঝরছে আমার ঘরের চাল দিয়ে,
তবু কই! এ চোখে তো জল ঝরল না
সে বলল, ওরে মেঘ দরকার
তবে তো জল ঝরবে,
আঘাত এলো জীবনে, একের পর এক,
হৃদয়ে নাড়া দিল বার, বার -
তবু, চোখের জল তো বের হল না,
তবে কি মানুষ নই আমি!
আবার সে বলে উঠল-
অন্য একটা চেষ্টা কর -
অ্যাসিড দিয়ে জালালাম হৃদয়টাকে -
কিন্তু কোথায়! চোখের জল তো বের হল না,
রেগে গিয়ে সে বলল
দুর! তুই তো চণ্ডাল
তোর চখে জল আসবে কি করে?
শুধু শুধুই ওয়েষ্ট অফ্ টাইম
সে চলে গেলো, হঠাৎ --
দুফোটা জল পড়ল -
দৌড়ে গেলাম তার পেছন পেছন,
চিৎকার করে বললাম -
ওরে চোখের জল বেরিয়েছে -
কিন্তু তাকে খুঁজে পেলামনা
সে নাদেখেই চলে গেল -
আমার চোখের জল,
আজও আঝোরে পড়ে, কিন্তু
তবু কেউ দেখে না।
খানা খন্দ, মা্ঠ, ঘাট, জলে টই টুম্বুর
নর্দমার জল উপচে পড়ছে রাস্তায়,
জল ঝরছে আমার ঘরের চাল দিয়ে,
তবু কই! এ চোখে তো জল ঝরল না
সে বলল, ওরে মেঘ দরকার
তবে তো জল ঝরবে,
আঘাত এলো জীবনে, একের পর এক,
হৃদয়ে নাড়া দিল বার, বার -
তবু, চোখের জল তো বের হল না,
তবে কি মানুষ নই আমি!
আবার সে বলে উঠল-
অন্য একটা চেষ্টা কর -
অ্যাসিড দিয়ে জালালাম হৃদয়টাকে -
কিন্তু কোথায়! চোখের জল তো বের হল না,
রেগে গিয়ে সে বলল
দুর! তুই তো চণ্ডাল
তোর চখে জল আসবে কি করে?
শুধু শুধুই ওয়েষ্ট অফ্ টাইম
সে চলে গেলো, হঠাৎ --
দুফোটা জল পড়ল -
দৌড়ে গেলাম তার পেছন পেছন,
চিৎকার করে বললাম -
ওরে চোখের জল বেরিয়েছে -
কিন্তু তাকে খুঁজে পেলামনা
সে নাদেখেই চলে গেল -
আমার চোখের জল,
আজও আঝোরে পড়ে, কিন্তু
তবু কেউ দেখে না।
Subscribe to:
Posts (Atom)